Ad Code

Responsive Advertisement

‘ছেলে ডাক্তার হয়েছে, তাও বলতে পারলো না বাবা-মা’

ওমর ফারুক

সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সন্তান তরুণ চিকিৎসক ওমর ফারুক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আজগর আলী হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

পারিবার সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ইন্টার্নরত ওমর ফারুক। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

ডা. ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (সিএমসি) থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। তিনি ছিলেন সিএমসির ৫৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের ভাটি বড়াটিয়া গ্রামে।

তরুণ এ চিকিৎসকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

তার বন্ধু ও  কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা ডা. শাহ মোহাম্মদ রিমান বলেন, একটা তাজা প্রাণ, অজস্র ত্যাগের পর যে ছেলেটা ডাক্তার হয়েছিল, ছেলেটার বাবা-মা বুক ভরে বলতেও পারলো না সে কথা।  তার আগেই খাঁচার পাখি উড়ে গেলো বহুদূরে। 

তিনি বলেন, বাড়ি থেকে এতোদূরে মেডিকেলে পড়তে খুব অনাগ্রহ ছিল শুরুতে, আমাকে আফসোস করে বলতো, যদি কিশোরগঞ্জে থেকেই পড়তে পারতো। সব আফসোস বাদ দিয়ে ৫ টা বছর পরিশ্রম করে ডাক্তার হলো, আর একটা এক্সিডেন্ট জীবনের গল্পটা পাল্টে দিল।  

নিকলীর মেধাবী তরুণ ও শহীদ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী দিদার মোহাম্মদ বলেন, আমাদের গ্রামের হাইস্কুল থেকে তিনিই সর্বপ্রথম মেডিকেলে চান্স পেয়েছিলেন।  প্রথম ডাক্তারও তিনিই।  মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের সময় ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক সাহস, সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি।চান্স পাবার পরও অনেক কথা হতো ভাইয়ের সঙ্গে মেডিকেলীয় পড়াশোনা আর অনান্য বিষয় নিয়ে।

তিনি বলেন, পাঁচ বছর ডাক্তারি পড়াশোনা করে ডাক্তার হয়ে ইন্টার্নিতে ছিলেন ভাই,অনেক স্বপ্ন ছিল নিজের গ্রাম,পরিবার,আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে, কিছুই করা হলো না।হুট করে সব শেষ হয়ে গেল।

Post a Comment

0 Comments

Ad Code

Responsive Advertisement