সিলেটের এমসি (মুরারিচাঁদ) কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা পড়েছে। শনিবার তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন অধ্যক্ষের কাছে দিয়েছে। কলেজ অধ্যক্ষ মো. সালেহ আহমদ এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদনটি আপাতত সিলগালা করে রাখা হয়েছে।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রবাসে অবৈধভাবে বসবাসরত ছাত্রলীগের কর্মী ছয়জনসহ আরও দুজন জড়িত অভিযোগে মামলা হয়। অভিযুক্ত এই আটজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ধর্ষণকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। করোনা পরিস্থিতির সময় বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ রকম ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠলে কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ঘটনা তদন্তে কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৭ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কলেজ সূত্র জানায়, কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির দুজন সদস্য হিসেবে ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক (হোস্টেল সুপার) মো. জামাল উদ্দিন ও জীবনকৃষ্ণ ভট্টাচার্যকে সদস্য রাখা হয়। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশনা ছিল। ছাত্রাবাসের দুজন তত্ত্বাবধায়ক কমিটিতে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠলে ওই দুই সদস্য অব্যাহতি নেন। পরে তদন্ত কমিটিতে কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিভূতিভূষণ রায়কে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে তদন্ত কার্যক্রম চলে।
0 Comments